প্রকাশিত: Sat, May 6, 2023 5:00 AM
আপডেট: Sat, Jun 28, 2025 12:20 AM

ঢাকা ও আশপাশে ৪.৩ মাত্রার ভূমিকম্প

দোহার পয়েন্ট থেকে বড় ভূমিকম্পের ঝুঁকি নেই মিয়ানমার প্লেটটি বাংলাদেশের জন্য বিপদজনক

জাফর খান: শুক্রবার ভোর ৫টা ৫৭ মিনিটে ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় অনুভূত ভূকম্পনের মাত্রা ছিল  ৪ দশমিক.৩। যুক্তরাষ্ট্রের ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের মতে, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলটি ছিল ঢাকা জেলার দোহারের প্রায় ১৪ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে। কেন্দ্রস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে। এর আগে একই স্থান থেকে ২০১২ সালের ১৮ই মার্চ ৪.৫ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হয়েছিল। 

এই বিষয়ে আবওহাওয়াবিদ মুমিনুল ইসলাম আমাদের নতুন সময়কে জানিয়েছেন, মূলত দুই ধরণের প্লেট থেকে ভূমিকম্প হয়। একটি ইন্টার ও অন্যটি ইনট্রা প্লেট। ইনটার প্লেট হতে উৎপন্ন ভূমিকম্প প্লেটগুলোর সংযোগস্থলে হয়ে থাকে যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ও মাত্রা বেশি। তবে শুক্রবারের ভূমিকম্পটি ইনট্রা প্লেট থেকে হয়েছে। এটি পূর্ণ শক্তি অর্জন করায় ঝাঁকুনির মাত্রা বেশি হলেও অপেক্ষাকৃত কম শক্তিশালী ছিল। ওই স্থানে বড় ধরনের কোনো ফল্ট লাইন না থাকায় বেশি মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার ঝুঁকি নেই।

ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে বাংলাদেশ কোন স্তরে রয়েছে, এইা প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন; আমরা মূলত তিনটি টেকটনিক প্লেট পরিবেষ্টিত। একটি নেপালের ইউরোনেশিয়া, অন্যটি ইন্দো-অস্ট্রেলিয়ান ও অপরটি আমাদের দেশ হতে মাত্র ১৫০ কি.মি. পূর্বে মিয়ানমারে অবস্থিত বার্মার মাইক্রো প্লেট। এগুলোর মধ্যে বার্মার প্লেটটি আমাদের জন্য প্রবল ঝুকিপূর্ণ। এতে রয়েছে সেগিং ফল্ট। যা থেকে হতে পারে ভয়াবহ কোন ভূমিকম্প। 

তিনি জানান, ছোট ছোট কয়েকটি ভূমিকম্প বড় ভূমিকম্পের পূর্বাভাস। ছোট ছোট কয়েকটি সম্পন্ন হওয়ার পরে বড় ভূমিকম্পের ঝুঁকিও কমে আসে।

বাংলাদেশে সর্বশেষ ১৮২২ এবং ১৯১৮ সালে মধুপুর ফল্টে বড় ভূমিকম্প হয়েছিল। ১৮৮৫ সালে ঢাকার কাছে মানিকগঞ্জে ৭.৫ মাত্রার একটি ভূমিকম্পের ইতিহাস রয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স সূত্র বলছে, ঢাকার ৭৬ শতাংশ রাস্তা সরু হওয়ায় ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধার তৎপরতা চালানো কঠিন। এছাড়া ৬০ শতাংশ ভবন মূল নকশা পরিবর্তন করে গড়ে ওঠায় বড় ভূমিকম্প হলে অপরিকল্পিত ভবনগুলো ধসে পড়তে পারে। পাশাপাশি গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির লাইনের বিস্ফোরণেও ভয়াবহ পরিস্থিতি হতে পারে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব